মোঃ মেহেদী হাসান।
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক দেশের অন্যতম ব্যস্ত একটি মহাসড়ক। এটি দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত। বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলা ছাড়াও খুলনা ও গোপালগঞ্জের দূরপাল্লার যাত্রীবাহী যানবাহন এই সড়ক ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করে। কয়েকদিনের টানা ভারী বর্ষণের ফলে গৌরনদী উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকার দক্ষিণ-পূর্ব পাশে সড়কে ধস দেখা দিয়েছে। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। এতে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচলে দেখা দিয়েছে চরম ভোগান্তি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের ‘জিরো পয়েন্ট’ তিন রাস্তার মোড়ে পশ্চিমে খুলনা-গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক, আর দক্ষিণ ও উত্তরে রয়েছে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে থাকে। কিন্তু সাম্প্রতিক এই ধস ও খানাখন্দ যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।স্থানীয় সাংবাদিক ও ‘তুবা টেলিকম’-এর প্রোপ্রাইটর মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এখানে প্রায় ১৫ থেকে ২০টি দোকান রয়েছে। একটি লোকাল বাস কাউন্টারসহ এই দোকানগুলো যেকোনো সময় রাস্তার পূর্ব পাশের পুকুরে ধসে পড়তে পারে। এতে ব্যবসায়ীরা চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।’
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক রিফাত আরা মৌরী বলেন, ‘আমাদের সীমানার মধ্যে মহাসড়কের যে অংশ পড়েছে, সে বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সঙ্গে কথা হয়েছে। দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যে দোকানগুলো পুকুরে ধসে পড়ার ঝুঁকিতে আছে, সেগুলোর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন জানান, ‘সাম্প্রতিক হালকা ও ভারী বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ইটের সলিং দিয়ে তা মেরামতের কাজ চলবে। বৃষ্টি কমলে পরে পাথর ও বিটুমিন দিয়ে পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করা হবে