তৃতীয় স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ গুমের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ঘাতক স্বামী সোহরাব হোসেন আকনকে (৪৫) মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক। বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ রকিবুল ইসলাম রবিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে এ রায় ঘোষনা করেছেন।
এসময় দন্ডপ্রাপ্ত সোহরাব আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলো। রায় ঘোষনার পর তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের পেশকার অজিবর রহমান জানিয়েছেন, আরেক (দ্বিতীয়) স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সোহরাবকে আরেকটি মামলায় এর আগে আদালতের অপর বিচারক মৃত্যুদন্ডের রায় দিয়েছেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চদালতে আপীল চলমান রয়েছে।
দন্ডপ্রাপ্ত সোহরাব বরিশালের মুলাদী উপজেলার তয়কা গ্রামের বাসিন্দা মো. লাল মিয়া আকনের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সোহরাব তার তৃতীয় স্ত্রী লিমা বেগমকে ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর হত্যা করে লাশ গুম করেছে। এরপর থেকে লিমার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। সে (লিমা) মুলাদী পৌর শহরের তেরচর গ্রামের মো. হোসেন পাটোয়ারীর মেয়ে।
লিমা নিখোঁজের পর তার বোন ডলি বেগম প্রথমে মুলাদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি হত্যা ও গুমের মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ফেরদৌস হোসেন নামের এক ব্যক্তির সাথে লিমার প্রথম বিয়ে হয়। সেই স্বামীকে (ফেরদৌস) নিয়ে লিমা তার বাবার বাড়িতে থাকতো। পূর্ব পরিচয়ের সূত্রধরে সোহরাব লিমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ফেরদৌসকে তালাক দিতে বাধ্য করে। পরে লিমাকে বিয়ে করে সোহরাবও লিমাদের বাড়িতে থাকতো।
হত্যা ও গুমের প্রায় ছয় মাস আগে এ বিয়ে হয়। বিয়ের পর লিমার বাবাকে জমি বিক্রি করে দুই লাখ টাকা যৌতুক দিতে চাঁপ প্রয়োগ করে সোহরাব। এ নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরধরে লিমাকে হত্যা করে তার লাশ গুম করেছে সোহরাব।