স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা আজ (মঙ্গলবার) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে পুলিশি বাধার মুখে সড়ক অবরোধ করে বসে পড়েন। এতে রাজধানীর ব্যস্ত সড়কে দীর্ঘ সময় যান চলাচল বন্ধ থাকে।
সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে ‘নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে শতাধিক শিক্ষক যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন। তবে কদম ফোয়ারা মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দেয়। বাধা পেয়ে শিক্ষকরা সড়কের মাঝখানে বসে স্লোগান দিতে থাকেন—“এমপিও আমাদের অধিকার, দিতে হবে এখনই দিতে হবে।”
শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, বহু বছর আগে স্বীকৃতি পেলেও তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। ফলে তারা সরকারি বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। আন্দোলনকারীদের ভাষায়, “আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তায় থেকেই আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
এদিকে আলোচনার জন্য শিক্ষকদের একটি ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া বলেন, “ফ্যাসিবাদের কিছু দোসর এখনো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সক্রিয় রয়েছে। তারা আমাদের দাবিকে আটকে রাখছে। এসব দোসরদের চিহ্নিত করে প্রত্যাহার করতে হবে এবং অবিলম্বে এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে।”
অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে, শিক্ষকরা অনুমতি ছাড়া যমুনা অভিমুখে মিছিল শুরু করায় জননিরাপত্তার স্বার্থে তাদের থামানো হয়েছে। তবে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
দুপুর পর্যন্ত শিক্ষকরা কদম ফোয়ারা মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তাদের দাবি, লিখিত আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত তারা সড়ক ছাড়বেন না।