শ্যামনগর থেকে রিফাত বিন আজহার,
৯ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ। পরিদর্শনকালে তারা হরিতলা মন্দির, নকিপুর ব্রাহ্মণপাড়া সর্বজনীন দুর্গা মন্দির, লক্ষ্মীপুর জমিদারবাড়ি রাজবংশী সর্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দির, শিবুপদ চক্রবর্তী ফারদীয় পূজা মন্দির, পশ্চিম আটুলিয়া সর্বজনীন শ্রী শ্রী বসন্তী দুর্গা মন্দির এবং দক্ষিণ-পশ্চিম আটুলিয়া আদু মণ্ডল ভবন সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরসহ কয়েকটি মন্দিরে যান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দলে ছিলেন শ্যামনগর উপজেলার ছাত্র নেতা মাসুম বিল্লাহ, মোঃ সাইফুল ইসলাম, আশিকুজ্জামান আশিক, বিল্লাল হোসাইন, শরিফুল ইসলাম, মাসুদ, রিফাত বিন আজাহার এবং ফরিদসহ আরও অনেকে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির শ্যামনগর উপজেলা শাখার পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন শ্যামনগর পৌরসভার সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল সিয়াম এবং মোঃ জাহিদ হাসান। তাদের সঙ্গে ছিলেন সাংবাদিক আশিকুর রহমানসহ আরও অনেকে।
নেতৃবৃন্দ মন্দির পরিদর্শনকালে সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন, মন্দির কমিটির সদস্যদের সাথে আলোচনা করেন এবং তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব নয়, বরং এটি সব ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে একটি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। এ ধরনের উৎসব সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বার্তা বহন করে।
নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলেন হরিতলা মন্দিরের নান্টু পাল, নকিপুর ব্রাহ্মণপাড়া সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সম্পাদক মনোরঞ্জন শীল, সহকারী অধ্যাপক ও হরিতলা মন্দিরের কমিটির সদস্য বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডল এবং শিবুপদ চক্রবর্তী ফারদীয় পূজা মন্দিরের সভাপতি বাবু কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি সহ আরও অনেকে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এ ধরনের উৎসবগুলোতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে এবং স্বতঃস্ফূর্ত মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।