৩ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ইশ্বরিপুর ইউনিয়নের গুমানতলী মাদ্রাসায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের দাওয়াতী কার্যক্রম চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুমানতলি কামিল মাদ্রাসায় শিবির কর্মীরা দাওয়াতের উদ্দেশ্যে গেলে, আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আতাউল হক দোলনের পুত্র রাব্বি তার সমর্থকদের নিয়ে বাধা দেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, তারা মাদ্রাসায় শিবির কর্মীদের প্রবেশ করতে দিতে চাননি, যা থেকে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে শিবিরের কয়েকজন কর্মী আহত হন, তাদের মধ্যে কয়েকজন গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
এ ঘটনার পর বিকেলে শ্যামনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি সামিউল আযম মনির এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ছাত্র প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যান। সেখানে পৌঁছানোর পর এক অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সাবেক এমপি আতাউল হক দোলনের আরেক পুত্র আতহার শিহাব রাহুল মাসুম বিল্লাহকে জোরপূর্বক একটি ঘরে নিয়ে যান। মাসুম বিল্লাহ অভিযোগ করেন, সেখানে তাকে পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখানো হয় এবং এ ঘটনার ব্যাপারে প্রকাশ্যে কথা না বলার জন্য হুমকি দেওয়া হয়। এছাড়াও তাকে শারীরিকভাবে হয়রানি করা হয়।
উক্ত ঘটনায় সাবেক এমপি আতাউল হক দোলনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
অবস্থা জটিল হয়ে উঠলে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফকির তাজুল ইসলাম দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং মাসুমকে নিরাপদে উদ্ধার করেন। তিনি বলেন, "ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে এবং যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এদিকে, এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা থাকলেও পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপে পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।