গুমানতলী কামিল মাদ্রাসায় ছাত্র শিবিরের সাথে সাবেক এমপি আতাউল হক দোলনের পুত্র এবং তার সহযোগীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর একটি বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল আতাউল হক দোলন একটি কল রেকর্ড ফাঁস করেন, যা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি চক্রান্ত হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম আজ ৫ অক্টোবর তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, “আমি জি,এম সিরাজুল ইসলাম, অধ্যক্ষ গুমানতলী কামিল মাদ্রাসা। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য, গতকাল আমার ব্যক্তিগত একটি কল রেকর্ড ফাঁস করা হয়েছে। এতে আমি দুঃখিত ও মর্মাহত। বিগত ০৩/১০/২৪ তারিখে বৃহস্পতিবার আমার মাদ্রাসায় ছাত্র শিবিরের যে প্রোগ্রাম ছিল, তা আমার জানা ছিল না। মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে বা মূল গেটের মধ্যে কোনো অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি। বাহিরে কী গোলযোগ হয়েছে সেটাও আমি দেখিনি। তবে ০৪/১০/২৪ তারিখে বিশ্বাসযোগ্য সূত্রে জানতে পারি, আমার ছাত্র সাইফি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কাজেই আমি চাই ঘটনা তদন্ত পূর্বক সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসুক। কারণ আমি সত্যের পক্ষে। আমার নিরীহ ছাত্র কেন আজ হাসপাতালের বেডে? আমি দুষীদের বিচার চাই।”
তিনি আরও বলেন, “বিগত ১ বছর ধরে আমি এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হয়ে যতটুকু পেরেছি, একটা গ্রহণযোগ্যতার জায়গায় পৌছে গেছি। প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হোক, আমি চাই না। কারণ আমার ওস্তাদ মরহুম মাওলানা মোস্তফা সাহেব, মরহুম মাওলানা আব্দুল রশিদ সাহেব এবং মাওলানা আহমদ আলি সাহেবদের তিলে তিলে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে সম্ভাবত মুক্তি পেতে যাচ্ছি।”
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর গুমানতলী কামিল মাদ্রাসায় ছাত্র শিবিরের সদস্যদের বিরুদ্ধে সাবেক এমপি আতাউল হক দোলনের পুত্র রাব্বি ও তার সহযোগীরা হামলা চালায়। এতে সাইফি, আবু তালেবসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়ে শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এই ঘটনায় জামায়াতের উপজেলা আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান এবং ছাত্র শিবিরের নেতৃবৃন্দ নিন্দা জানিয়ে অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আতাউল হক দোলন ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেন। ছাত্র শিবিরের উপর আক্রমণের ঘটনায় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা তার বাড়ির গ্লাস ভেঙে দেয়, যার দায় সাবেক এমপি ছাত্র শিবিরের উপর চাপিয়ে দিতে চান।