মোজাফফার হুসাইন- গাবুরা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ৯ নং শোরা গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি জগলুল হায়দারের সমর্থক আবুল বাসার গাজী ও তার সহযোগী আবুল হোসেন গাজীর নেতৃত্বে আব্দুর রশিদ গাজীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয়, মসজিদের টয়লেটের একটি নোংরা পাইপ জোরপূর্বক আব্দুর রশিদ গাজীর পুকুরে ফেলে দেওয়া নিয়ে। আব্দুর রশিদ এই ঘটনায় কোনো সংঘাতে না গিয়ে মসজিদ কমিটির কাছে সালিশ দাবি করেন। মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আব্দুর রউফ এবং সেক্রেটারি মো. ইয়াসিন আলীর অনুমতি নিয়ে তিনি পাইপটি সরিয়ে ফেলেন। কিন্তু এতে আপত্তি জানান আবুল বাসার গাজী। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে, আবুল বাসার ও তার সমর্থকরা আব্দুর রশিদকে বাড়ি থেকে জোর করে বের করে এনে মারধর করেন।
এই ঘটনার দুই দিন পর, আব্দুর রশিদের ছেলে আশিকুজ্জামান শুরুজ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে পুনরায় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে আব্দুর রশিদ গুরুতর আঘাত পান এবং মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান। পরবর্তীতে তাকে স্থানীয় এক গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয়দের মতে, আবুল বাসার গাজীর সমর্থকরা এখনও আব্দুর রশিদের বাড়ির আশেপাশে অবস্থান করছেন, যা তার পরিবারকে আরও আতঙ্কিত করে তুলেছে। পূর্বেও রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল, কারণ আব্দুর রশিদের পরিবার জামায়াত সমর্থিত এবং আবুল বাসারের পরিবার আওয়ামী লীগ নেতা জগলুল হায়দারের ঘনিষ্ঠ।
বর্তমানে আব্দুর রশিদ গাজী তার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং আইনের আশ্রয় নিতে চাইলেও, আবুল বাসার গাজীর গ্যাং বারবার বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। স্থানীয়রা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে পরিস্থিতি সমাধানের দাবি জানিয়েছেন, যাতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত হয় এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়।