
বাংলার বার্তা ডেস্কঃ
জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশ সুরক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণের লক্ষ্যে মধ্য জঙ্গলপট্টি পীর বাদশা মিঞা (রহঃ) দাখিল মাদ্রাসা আজ এক বিশেষ ফলজ ও বনজ চারা রোপণ কর্মসূচি এবং জলবায়ু পরিবর্তন সচেতনতা কর্মসূচির আয়োজন করে। মাদ্রাসার প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই মহতী অনুষ্ঠানে অত্র মাদ্রাসার সম্মানিত সুপার, সহ-সুপার, সকল শিক্ষক এবং কর্মচারী বৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
কর্মসূচির আওতায় মাদ্রাসার আঙিনাজুড়ে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপণ করা হয়। এর মধ্যে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচুসহ বিভিন্ন উপকারী ফলজ গাছের পাশাপাশি মেহগনি, সেগুন, আকাশমনি’র মতো গুরুত্বপূর্ণ বনজ চারাও ছিল। এই বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম কেবল মাদ্রাসার পরিবেশকেই সবুজ করবে না, বরং স্থানীয় জীববৈচিত্র্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির পাশাপাশি একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়। সভার শুরুতে মাদ্রাসার সুপার জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান পরিস্থিতি, এর নেতিবাচক প্রভাব এবং এর মোকাবিলায় বৃক্ষরোপণের অপরিহার্য গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে বাঁচতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে আমাদের প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে এবং যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। বৃক্ষরোপণ তারই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা তৈরি করতে সাহায্য করবে।”
সহ-সুপার তার বক্তব্যে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকেও পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “শুধু মাদ্রাসা নয়, আমাদের সমাজের প্রতিটি স্তরে পরিবেশ সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে। প্রতিটি গাছ আমাদের পরিবেশের অক্সিজেন ফ্যাক্টরি এবং মাটির ক্ষয় রোধে সহায়ক।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ অত্যন্ত উৎসাহের সাথে চারা রোপণ কার্যক্রমে অংশ নেন। তারা কেবল চারা রোপণই করেননি, বরং এর রক্ষণাবেক্ষণেও নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। এই ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে পরিবেশ রক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারবে এবং ভবিষ্যতে তারা পরিবেশ সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে বলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আশা প্রকাশ করে।
মাদ্রাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতেও এ ধরনের জনসচেতনতামূলক এবং পরিবেশবান্ধব কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এই উদ্যোগ স্থানীয় পর্যায়ে পরিবেশ সুরক্ষায় একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Leave a Reply