
বাংলার বার্তা ডেস্কঃ
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার চন্দ্রহার কৈলাশ চন্দ্র-রমেশ চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর ম্যানেজিং কমিটির নিয়ন্ত্রণাধীন পুকুরে চুক্তিভিত্তিক মাছ চাষের মেয়াদ মার্চ-২০২৫ শেষ হওয়ার পরও নতুন করে চুক্তি না করে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা রাজিব হোসেন এর নেতৃত্বে জোরপূর্বক সেখানে মাছ ছাড়ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়দের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতি তিন বছর নির্দিষ্ট চুক্তির মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটি স্কুলের ৩টি পুকুর ইজারা দিয়ে মাছ চাষ করে থাকে। সর্বশেষ চুক্তির মেয়াদ মার্চ-২০২৫ তারিখে শেষ হয়। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নতুন করে কোন চুক্তি হয়নি, গত কয়েকদিন ধরে জোর করে কে বা কাহারা পুকুরে মাছ ছাড়ছেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “চুক্তির সময়সীমা শেষ হওয়ার পর পুকুরে কেউ মাছ ছাড়ার অধিকার রাখে না। বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
স্থানীয়দের দাবি, স্কুলের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্পদে এ ধরনের দখলদারি মানা যায় না। এতে স্কুলের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে বড় ধরনের জটিলতার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্কুল প্রধান শিক্ষক বলেন, আমি মাছ ছাড়ার বিষয়টি জানতে পেরে, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: মজিবুর রহমান হাওলাদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আরা মৌরি, ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল জলিল এর নিকট অবহিত করেছি। যদি কেউ অবৈধভাবে মাছ ছাড়ে, তবে প্রশাসনের সহায়তায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুজিবুর রহমান হাওলাদার জানান, আমি জরুরী কাছে ঢাকা অবস্থান করছি,আমি শুনেছি কে বা কারা যেন মাছ ছেড়েছে, আসার পর স্পষ্ট বলতে পারব।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি রাজিব হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে জানান, মাছ ছেড়েছেন মসজিদ কমিটি, আমি মাছ ছাড়েনি।
Leave a Reply