ঈশ্বরদীর জাকারিয়া_ফাউন্ডেশন এর আর্থিক সহযোগিতায় দারিদ্রতাকে জয় চায় পাবনার মুকুল হোসেন
মোঃ খায়রুল বাশার (মিঠু) ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় আর্ত মানবতার সেবায় এগিয়ে চলা জাকারিয়া ফাউন্ডেশন আরো একধাপ এগিয়ে চলল।
২৫ মে (রবিবার) পাবনা সদর উপজেলার কিসমতপ্রতাপপুর খাঁ পাড়ার আব্দুল জব্বার এর ছেলে ইঞ্জিনিয়ার মুকুল হোসেন (৩৭) পাবনা পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা পাশ করে ২০০২ সালে সিলেট দেশ এনার্জি পাওয়ার প্লান্ট এ কর্মরত অবস্থায় টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ব্রেন ও হার্ট স্ট্রোকে এক হাত ও এক পা প্যারালাইজড হয়ে যায়। পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর হার্টের দুইটি ভাল্ব ফুটো বলে চিকিৎসক জানায়। এরপর এলাকাবাসী ও বন্ধু-বান্ধবের আর্থিক সহযোগিতায় ভারতে গিয়ে দেবী শেঠির হাসপাতালে ওপেন হার্ট সার্জারি করে কিছুটা সুস্থ পাবনায় ফিরে আসেন।
বর্তমানে মুকুল হোসেন নিজ বাড়িতে বাবা, মা ও ছোট ভাইয়ের সহযোগিতায় ছোট মুদি দোকান পরিচালনা করে আসছেন। এ থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে সে আয় দিয়ে জীবন যাপন করা তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না, দারিদ্রতাও পিছু ছাড়ছে না ।
এমতাঅবস্থায় আর্থিক অস্বচ্ছলতার এ খবর পেয়ে যাচাই বাছাই করে ইঞ্জিনিয়ার মুকুল হোসেনের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় ঈশ্বরদী জাকারিয়া ফাউন্ডেশন।।
আর এ সহযোগিতা পেয়ে মুকুল হোসেন জানান, আর্থিক সহায়তা পেয়ে মানসিকভাবে শক্তি পেয়েছেন এবং আগামীতে এ পুঁজি খাটিয়ে ব্যবসা কে আরও বড় করতে চান এজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।
ইঞ্জিনিয়ার মুকুল হোসেন এবং তার বৃদ্ধ বাবা-মা আরোও জানান ঈশ্বরদী জাকারিয়া ফাউন্ডেশন আর্ত মানবতার সেবায় দেশের অবহেলিত সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করছে এজন্য তিনি জাকারিয়া ফাউন্ডেশনের সকল কর্মকর্তাদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে জাকারিয়া ফাউন্ডেশনের সভাপতি গোলাম কবীর জানান, জাকারিয়া ফাউন্ডেশন আর্ত মানবতার সেবার পাশাপাশি অস্বচ্ছল পরিবারে মাঝে খাদ্য সহযোগিতা, আর্থিক সহযোগিতা, শিক্ষাবৃত্তি, ইসলামী শিক্ষায় প্রসার ঘটাতে বিভিন্ন ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন, মসজিদ, মাদ্রাসা সংস্কারের আর্থিক সহযোগিতা, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য খাত সহ বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত আছে আগামীতে এ ধরনের কর্মসূচি আরও সম্প্রসারিত করা হবে।।