
বাংলার বার্তা ডেস্কঃ
জুলাই-আগস্টে হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ। বুধবার (২০ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনালে এ সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে সোমবার (১৮ আগস্ট) আলোচিত এ মামলায় পঞ্চম দিনের সাক্ষ্য-জেরা শেষ হয়। তারও আগে রোববার (১৭ আগস্ট) চতুর্থ দিনে সাক্ষ্য দেন জুলাই আন্দোলনে গুলিতে আহত আব্দুস সামাদ। একই দিন সাক্ষ্য দেন মিজান নামের আরও একজন।
গত ১০ জুলাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
এদিকে বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাজধানীর চানখারপুলে আনাসসহ ৬ জনকে হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে। এ উপলক্ষে ইতোমধ্যে প্রিজন ভ্যানে করে আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
গত বুধবার (১৩ আগস্ট) চানখারপুলে আনাসসহ ৬ জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ উপস্থিত হয়ে ওইদিন সাক্ষ্য দেন চানখারপুলে পুলিশের গুলিতে শহিদ মো. ইয়াকুবের মা, চাচা ও শহিদ ইসমামুল হকের বড় ভাই মো. মহিবুল হক।
গত বছরের ৫ আগস্ট চানখারপুল এলাকায় ৬ জনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ১৪ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেন। সেই সঙ্গে এই মামলার সূচনা বক্তব্যের ও সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়।
মামলায় যে ৮ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়েছে তারা হলেন- সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ্ আলম মো. আখতারুল ইসলাম, রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল, শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম। এই আসামির মধ্যে প্রথম চারজন পলাতক। অন্য চারজন গ্রেপ্তারের পর কারাগারে রয়েছেন।
Leave a Reply