1. banglarbartadaily@gmail.com : admin : Nasir Uddin
  2. k8ak@razdel-imushchestva6.ru : barrettbible877 :
  3. tamekia@orbitaloffer.online : camilla7319 :
  4. dannymoeller1943@acetylcholgh.ru : carmenlam53 :
  5. arthurstone1918@acetylcholgh.ru : cherylmenard :
  6. ewf32@razdel-imushchestva6.store : emmettali8 :
  7. ruebenti@bittermail.site : hayleychang0539 :
  8. mbjyr@yuridicheskaya-konsultaciya11.store : inesbaughman14 :
  9. abdullahserdar245@gmail.com : Md.Abdullah Al Limon : Md.Abdullah Al Limon
  10. antoinettesmith1972@acetylcholgh.ru : marianastilwell :
  11. qalex@razdel-imushchestva4.store : natalieu03 :
  12. ka11k@razdel-imushchestva6.ru : patriciae37 :
  13. banzay3@konsultaciya-yurista3.ru : russelmontero1 :
  14. fvgbhn@yuridicheskaya-konsultaciya11.store : windycorby04 :
  15. muriellanham2006@acetylcholgh.ru : zneluann754 :
টরকী-বাশাইলের মৃতপ্রায় খালে বিপন্ন জনপদ - Dailybanglarbarta.com        
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে কল করুনঃ ০১৭১৪৩৬৬৯৪৫
ব্রেকিং নিউজঃ
১৩ নভেম্বর ঘিরে খোলা জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন নয়: জামায়াত আমির জামায়াতের এমপি প্রার্থীর বিলবোর্ডে ও আমিরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিলেন জামায়াতের প্রার্থী প্রাথমিক শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু জনগণের শক্তিতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারব – বিএনপির মনেনীত প্রার্থী স্বপন নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে দেশে আবারও বিপ্লব ঘটবে: সরোয়ার তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা একটি প্রযুক্তিনির্ভর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ব: এম. জহির উদ্দিন স্বপন অপরিকল্পিত স্পিড ব্রেকার : জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ইউপি সদস্য Gournadi 24.com এর ১৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা

টরকী-বাশাইলের মৃতপ্রায় খালে বিপন্ন জনপদ

  • আপডেটের সময় : সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৩৮ বার দেখা হয়েছে

একসময়ের প্রবাহমান খরস্রোতা খাল আজ দীর্ঘদিন ধরে খনন না করায় নাব্যতা সংকট ও দখল-দুষণের কারণে মৃতপ্রায়। ফলে বিপন্ন হচ্ছে ওই খালের ওপর নির্ভরশীল কৃষিজমি, জীবন ও প্রকৃতি। খালটি খনন করে পুরনো যৌবণে ফিরিয়ে আনার জন্য ভূক্তভোগীরা অংসখ্যবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিদের কাছে ধর্না দিয়েও কোন সুফল পায়নি।

ঐতিহ্যবাহী এ খালটির অবস্থান বরিশালের আগৈলঝাড়া ও গৌরনদী উপজেলায়। এ দুই উপজেলার মধ্যদিয়ে বয়ে যাওয়া খালের মোহনা হচ্ছে গৌরনদীর পালরদী নদীর টরকী বন্দর সংলগ্ন স্ব-মিল এলাকায়। টরকী বন্দর থেকে শুরু করে ধানডোবা, রাজাপুর, সাদ্দাম বাজার, মোক্তার বাজার, চেঙ্গুটিয়া গ্রাম হয়ে খালটি বয়ে গেছে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাশাইল বাজারের প্রধান খাল পর্যন্ত।

যেকারণে জনগুরুত্বপূর্ণ এ খালটি সবার কাছে টরকী-বাশাইল খাল নামে পরিচিত। এ খালের ওপর নির্ভরশীল ওইসব এলাকার হাজার-হাজার কৃষক।

ক্লাইমেট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের আগৈলঝাড়া শাখার পরিবেশ কর্মী সৈয়দ মাজারুল ইসলাম রুবেল জানিয়েছেন-দীর্ঘদিন থেকে খাল খনন না করায় খাল ও নদীর নাব্যতা সংকটের ফলে খালের প্রধান মুখ পালরদী নদী থেকে খালে পানি প্রবেশের মোহনা উঁচু হয়ে যাওয়ায় এখন আর খালে পানি প্রবেশ করছে না।

তিনি আরও জানিয়েছেন, টরকী-বাশাইল খালটি একসময় এতদাঞ্চলের প্রধান চলাচলের নৌ-পথ ছিলো। কালের বির্বতনে রাস্তা পাকা হওয়ায় সড়ক পথে যোগাযোগের জনপ্রিয়তা বাড়লেও দীর্ঘদিন থেকে খালটি সংস্কার করা হয়নি। যেকারণে খালটি ধীরে ধীরে নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে।

বিশেষ করে শীত মৌসুমে খালটি পুরোপুরি শুকিয়ে যায়। বোরো মৌসুমে জনগুরুত্বপূর্ণ এ খালের পানি সেচের ওপর নির্ভর করে এ অঞ্চলের প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমির বোরোধান আবাদ। ওইসময় পালরদী নদীর মোহনায় সেচ পাম্প বসিয়ে খালে পানি উত্তোলন করায় চাষীদের বোরো আবাদে খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

দীর্ঘদিন থেকে পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সৈয়দ মাজারুল ইসলাম রুবেল বলেন-টরকী-বাশাইল খালে মূলত আড়িয়াল খাঁ নদের শাখা পালরদী নদী থেকে পানি প্রবেশ করে। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানির স্তর নিচে নেমে গেলে খালে পানি প্রবেশ করেনা।

যার স্থায়ী সমাধান খাল খননের মাধ্যমে নদী ও খালের নাব্যতা সমন্বয় করা। কিন্তু সেটি না করে নদী ও খালের পানি প্রবেশের মুখে বাঁধ দিয়ে কৃত্রিম সেচ পাম্পের মাধ্যমে নদী থেকে খালে পানি উঠানো হয়। ইজারার মাধ্যমে বিভিন্ন বোরো বøকের ম্যানেজারগণ সেচ প্রকল্প পরিচালনা করেন। যেকারণে সেচ প্রকল্পের এই পানি কয়েক হাত বদল হয়ে কৃষকদের উচ্চমূল্যে ক্রয় করতে হয়।

ফলে অধিকাংশ চাষীরা ধানচাষে আগ্রহ হারিয়ে বিকল্প হিসেবে বোরো জমিতে পান চাষ ও মাছের ঘের করেছেন। যে কারণে ক্রমেই কমে যাচ্ছে ধান চাষের জমির পরিমান। এছাড়াও খালের নাব্যতা সংকটের কারণে বর্ষা মৌসুমে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে খালগুলো পানিতে টইটুম্বুর হওয়ায় তলিয়ে যায় পানের বরজ ও মাছের ঘের।

অসংখ্য চাষীরা জানিয়েছেন-প্রতি ২০ শতক জমি চাষ করতে পানি সেচ বাবদ তিন শতক জমির ধান দিতে হয় বøক ম্যানেজারকে। বাজারে ধানের দামের চেয়ে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে জমি চাষাবাদ থেকে ফিরে আসছেন।

ফলে প্রতিবছরই অনাবাদি জমির সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে-এ খালের ওপর নির্ভর করে অতীতে বিপুল সংখ্যক মৎস্যজীবী মানুষ তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করতেন। এ খালে পাওয়া যেতো শতেক প্রজাতির  দেশীর  মাছ। স্রোতহীন খালটি আজ খননের অভাবে মরে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় দেশীয় প্রজাতির মাছ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খালটি স্রোতহীন হয়ে পড়াতে বদ্ধ পানিতে জন্ম নিচ্ছে ম্যালেরিয়া, এডিশ মশাসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ জীবানু। যা এ অঞ্চলের জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ।

সাবেক ইউপি সদস্য ছাদের আলী সরদার বলেন-আমাদের শৈশবে খালটিতে এতো পরিমাণ স্রোত ছিল যে, আমরা সাঁতরে এপাড় থেকে ওপাড়ে যেতে পারতাম না। এ খাল থেকে মাছ ধরেই আমরা আমাদের মাছের চাহিদা পূরণ করতাম। কিন্তু খালটি খননের অভাবে আজ মৃত প্রায় অবস্থায় থাকার কারণে দেশীয় মাছ যেমন বিলুপ্ত হয়েছে, তেমনি পানির অভাবে হাজার-হাজার কৃষকরা আজ ধান চাষে আগ্রহ হারিয়েছেন। যেকারণে অনাবাদি জমির পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন-জনগুরুত্বপূর্ণ এ খালটি খনন করে পুরনো যৌবণে ফিরিয়ে আনতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে উপজেলা কৃষি অফিস ও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অসংখ্যবার ধর্না দিয়েও কোন সুফল মেলেনি। গতবছর বোরো মৌসুমের পূর্বে ভুক্তভোগী কৃষকদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর খালটি খননের জন্য আবেদন করা সত্বেও অদ্যবর্ধি কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলা হচ্ছে প্রকল্প জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কবে নাগাদ জনগুরুত্বপূর্ণ এ খাল খননের প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে তার কোন সদুত্তর দিতে পারছেন না কোন কর্মকর্তা।

কৃষি নির্ভর এ জনপদের প্রান্তিক চাষী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ জনগুরুত্বপূর্ণ খালটিকে দখল ও দূষণমুক্তর কবল থেকে রক্ষা করে জরুরি ভিত্তিতে খননের মাধ্যমে নাব্যতা সংকট দূর করে পানি প্রবাহ নিশ্চিতের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন-আমরা পসচ কাজে ভূ-পৃষ্ঠের পানি ব্যবহার করে থাকি। আমাদের পদশে শীতকালে যখন পবারো ধান লাগানো হয় তখন পসচ কাজে পবশি পানি প্রয়োজন হয়। কারণ বোরো ধান পুরোটাই সেচ নির্ভর ফসল। তাছাড়া অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রেও বৃষ্টিপাত কম হলে সেচের প্রয়োজন হয়। ভূ-পৃষ্ঠের পানি ব্যবহারে সেচ খরচ কম হয়। সেজন্য যদি আমরা নদী বা খালের পানিকে সংরক্ষণ করে সম্পূরক সেচকাজে ব্যবহার করতে পারি তবে অল্প সেচ খরচে অধিক ফসল ফলানো সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন-সেচ কাজে ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর চাঁপ কমিয়ে ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহারের উপায় হচ্ছে খাল ও নদী খনন। নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় পানির প্রবাহ কমে গেছে, অনেক খাল দীর্ঘদিন ধরে খনন না করায় পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে। ফলে খাল এবং নদীগুলো পুনরায় খনন করা হলে দুই দিক থেকে আমাদের কৃষকরা লাভবান হতে পারবেন। এই খাল খননের ফলে একদিকে যেমন জলাবদ্ধতা নিরসনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে পতিত জলাবদ্ধ জমিগুলো নতুন করে চাষের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে, অপরদিকে শুকনো মৌসুমে খালের জমাটবদ্ধ পানি সেচ কাজে ব্যবহারের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

জেলা প্রশাসক বলেন-বরিশালের অনেকগুলো জনগুরুত্বপূর্ণ খাল খননের ব্যাপারে ইতোমধ্যে সংশ্লিস্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা হয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই এসব খাল খননের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর দেখুন
স্বত্ব © বাংলার বার্তা
ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।